সোমবার, ৭ জুন, ২০২১

কোথায় ইনভেস্ট করা যাবেনা, কিছু প্রতারক মাধ্যম ও গাইডলাইন পার্টঃ-২

 


গাইডলাইন ফর অনলাইন ইনকাম অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট:- ২


প্রথমেই বলে রাখি, পোস্টটি একটু বড় হবে। তাই আপনার সময় থাকলে পুরোটা পড়তে পারেন, নাহলে ইগনোর দিজ পোস্ট! আর পড়লে অবশ্যই কিছু হলেও শিখতে পারবেন। 


পূর্বের পোস্টে বলেছিলাম, কোন ধরণের কাজগুলো করলে আপনি কিছু করতে পারবেননা এবং অযথা আপনার সময় অপচয় হবে। তাই যারা সেটি পড়েননি, তারা পড়ে আসতে পারেন। 

আজকে আপনাদের ইনভেস্টমেন্ট এবং কিছু প্রতারণার মাধ্যম সম্পর্কে ডিটেইলস জানাবো। তাই আবারও বলছি, একটু সময় নিয়ে পোস্টটি পড়ুন, অথবা স্কিপ করুন। 


আগের পোস্টটি যারা পড়েছেন, তারা হয়তো জানতে পেরেছেন, কিছু সাইট রয়েছে যারা আপনাকে দিয়ে ফ্রীতেই রেজিষ্ট্রেশন করিয়ে নেয় এবং তাদের ভিজিটর বাড়ায়। 

এবারে যে সাইটের কথা বলবো, তারা একটু অ্যাডভান্স লেভেলের। তারা তো রেজিস্ট্রেশন করিয়ে নিবেই সাথে আপনাকে কিছু টাকা ইনভেস্ট করার জন্য বলবে। 

মানে, কিছু টাকা তাদের দিলে, তারা আপনাকে কিছুদিন পর তার দ্বিগুণ টাকা দিয়ে দিবে। 

আপনি বলতে পারেন, আরে আমি কি বোকা নাকি? আমি ইনভেস্ট করতে যাবো কেনো? 

আপনার উত্তর হলো: না, আপনি বোকা না। কিন্তু বেশি চালাক হওয়ায়, তারাও একটু ট্রিকি সিস্টেম চলে। তাই, আপনি না চাইলেও (বিষয়গুলো না জানা থাকলে) তারা আপনাকে সেই ফাঁদে ফেলতে পারে। 

যেরকম ফাঁদে সাধারণ মানুষ নয়, বরং বেশ কিছু স্মার্ট মানুষও সর্বস্ব হারিয়েছে। তাদের মধ্যে একজনের কথা জানি সে তো সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। 

প্রতারকদের সিস্টেমটি হলো, তারা প্রাথমিক পর্যায়ে সবাইকে দ্বিগুণ করে টাকা সত্যিই দিয়ে দিবে। কারণ, প্রাথমিক পর্যায়ে সবাই অতি চালাক হওয়ার ফলে, সামান্য টাকা ইনভেস্ট করে টেস্ট করবে। আর তাদের টেকনিকও ট্রিকি হওয়ায়, তারা সেই টাকার দ্বিগুণ দিয়ে দিবে। 

এরপর, যখন আপনি একবার টাকা পেয়ে যাবেন, তখন ভিতরে একটি লোভ কাজ করবে এবং পরবর্তীতে অনেক বেশি টাকা ইনভেস্ট করে দিবেন। এরপর কি হবে?

এরপর যেটা হবার তাই হবে, তারা আপনাকে পরবর্তীতে আর দ্বিগুণ নয়, বরং সেই টাকাও আর ব্যাক দিবেনা৷ হয়তো প্রাথমিক পর্যায়ে একটু এটা-সেটা বলে ঘুরাবে, যে অমুক দিনে দিবো ইত্যাদি ইত্যাদি। 

অনেক মানুষ যখন বন্ধুদের থেকে শুনবে কিংবা দেখবে, সে টাকা ইনভেস্ট করে দ্বিগুণ পেয়েছে। তখন তারাও ইনভেস্ট করা শুরু করবে। এভাবে, একটি সময় সকলের টাকা নিয়ে কোম্পানি উধাও। 

তো (আপনার) অতি চালাকের গলায় কিভাবে দড়ি পরালো বুঝতে পারলেননা তো? আপনি একটু গভীরভাবে চিন্তা করলেই বুঝতে পারবেন, যদি টাকা দিলে দ্বিগুণ হতো, তাহলে সে নিজের টাকা দ্বিগুণ করে করে কোটিপতি হয়ে যাচ্ছেনা কেন? পৃথিবীতে কোন মানুষ আছে, যে অন্য মানুষকে কোটিপতি করিয়ে দিতে চায়?

আর আপনি যদি ইসলাম ধর্ম অনুসারে চলেন, তাহলে বুঝতে পারবেন এটা একপ্রকার সুদের অনলাইন মাধ্যম। তখন, অবশ্যই সেরকম চিন্তা মাথায়ও আসবেনা। 


*এরপর আরো কিছু প্রতারক মাধ্যম রয়েছে, যারা অনলাইনে নয়, বরং অফলাইনে এমনভাবে আপনাকে ট্র্যাপে ফেলবে, আপনি বুঝতেও পারবেননা। 

তারা কিছু প্রডাক্ট দিয়ে আসবে, এবং বলবে আমরা অমুক বড় কোম্পানি, তমুক বড় কোম্পানি, আমারা ১০০% অথেন্টিক, আমাদের প্রডাক্ট ভালো, আমাদের লাইসেন্স আছে ইত্যাদি ইত্যাদি। 

আপনাকে তাদের প্রডাক্ট ক্রয় করে সেখানে জয়েন করতে হবে। আর সেখানে আপনার কাজ কি? 

আপনার কাজ হচ্ছে, তুখোড় পারদর্শিতার সাথে নিজে প্রতারিত হওয়া এবং অন্যকেও প্রতারণার ফাঁদে ফেলা। 

অন্যের তাঁবেদারি না করে, আপনার এই পারদর্শিতা যদি নিজের বিজনেস কিংবা ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্টের কাজে লাগাতেন, তাহলে লাইফে অনেক ভালো কিছু করতে পারতেন। 

তবে, সবাই খারাপ না, কিন্তু অধিকাংশই খারাপ।

 

তাদের যুক্তি হলো, যে টাকা অ্যাডভার্টাইজমেন্টে খরচ হতো, সেটা তারা এভাবে সকল ভোক্তাকে দিচ্ছে। আলটিমেটলি তারা ভোক্তাকে দিচ্ছেনা বরং উচ্চপদস্থরা সেটা লুটেপুটে খাচ্ছে। 

আপনিও যদি উচ্চপর্যায়ে যেতে পারেন, তাহলে আপনিও খেতে পারবেন এটাই স্বাভাবিক। 

একটা জিনিস চিন্তা করুন, তারা যে লাইসেন্সের কথা বলে, সেটা কিন্তু শুরুতে সবাই পায়। কারন আপনার বিজনেস শুরু করতে আপনার লাইসেন্স লাগবে। সেখানে আপনার থেকে শুধু শোনা হবে, আপনি কি কাজ করতে চাচ্ছেন এবং সে অনুযায়ী ক্যাটেগরি ভেদে আপনাকে লাইসেন্স দিয়ে দিবে। প্রাথমিক পর্যায়ে তারা তো আপনার বিজনেসের ব্যাপারে খোঁজ নেয়ার সুযোগই পাবেনা কারণ, আপনি তখন বিজনেস শুরুই করেননি। 

ভোক্তাদের অ্যাডভার্টাইজমেন্টের টাকা দিলে আল্টিমেটলি প্রডাক্টটির দাম স্বাভাবিকভাবেই অন্যদের তুলনায় কম হবে। 

আর তারা নিজে তাদের প্রডাক্ট আদৌ ইউজ করে কি না সন্দেহ। 

তাদের চেনের/গন্ডীর মধ্যে যারা আছে, তারা ছাড়া বাকি মানুষ তাদের প্রডাক্টের নাম পর্যন্ত জানেনা, ইউজ তো দূরের কথা। 

আপনার অপ্রয়োজনীয় প্রডাক্ট আপনি চড়া দামে কেন ক্রয় করতে যাবেন? যে জিনিস বাজারে আপনি এর থেকে অনেক কমদামে ক্রয় করতে পারবেন। 

আর আপনাকে যদি, অন্যকে প্রডাক্ট ক্রয় করিয়ে দিয়ে ইনকাম করতে হয়, তাহলে আপনি নিজের বিজনেস দাঁড় করান। 

অন্যের পাই এগিয়ে আপনার কতোই বা লাভ। আপনাকে ওই গন্ডির বাইরে তো আর কেউই চিনলোনা। কাহিনীটা এমন হইলো, আমার ঘরে আমিই রাজা। 

ধরলাম, আপনি অথেন্টিক আপনার প্রডাক্ট অথেন্টিক, সব অথেন্টিক। আপনি যাদের জয়েন করানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছেন, সেই মানুষটি হয়তো শেষ সম্বল দিয়ে আপনার কথা রাখার জন্য হলেও অপ্রয়োজনীয় প্রডাক্ট নিয়ে তার টাকাটা জলে দিবে। 

কারণ, তাদের মুল ফোকাস হলো নিকটাত্মীয়। আর আপনি যদি একজন ভালো মানুষ হোন তাহলে আপনার মুখের উপর অন্যরা "না" বলতে না পেরে আপনার বলা কাজটি তারা করবে। 

এভাবে একটি সময় আপনার সাথে তার এবং তার সাথে অন্য মানুষের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক শেষ হতে পারে। 

ধরুন আপনি একসময় সেই কাজের উচ্চপর্যায়ে গেলেন। আপনার আন্ডারে শতশত লোক প্রতিদিন নিজের কষ্টের টাকা কিংবা কর্জ করা টাকা, কিংবা নিজের সর্বস্ব বিক্রি করে দিয়ে একই কাজে ইনভলভ হয়েছে। 

হঠাৎ কোন কারণে একটি সমস্যায় সব বন্ধ হয়ে গেলো। তখন আল্টিমেটলি আপনার আপনার জন্যই শতশত মানুষের ক্ষতি হলো, এটা কি নৈতিক?

(আপনি সাধারণ নিরপেক্ষ মানুষ হিসেবে নিজেকে একবার প্রশ্নটি করে দেখুন, আপনি কি আসলেই ঠিক করছেন কি না)

তারপরও আপনি বলবেন, সে তো টাকা দিয়ে প্রডাক্ট কিনেছে। হ্যা, তা একদম ঠিক। 

কিন্তু টাকা দিয়ে সে অপ্রয়োজনীয় প্রডাক্ট কিনেছে কারণ, তাকে তারাতারি জয়েন করতে হবে ইনকাম করতে হবে। 

আপনি যদি প্রয়োজন অনুযায়ী প্রডাক্ট বাজারের তুলনায় কম দামে নিতে পারতেন এবং কাউকে কমদামে নিয়ে দিলে আপনি কিছু কমিশন পেতেন তাহলে সেটি অ্যাফিলিয়েটের পর্যায়ে পড়ে, যা আপনি নিসন্দেহে করতে পারেন। 

তবে, আপনি যাকে নিয়ে দিলেন, সে যদি অন্য কারও কাছে বিক্রি করে এবং সেখান থেকে যদি আপনি কমিশন পান, তাহলে এতে একটু ঘাবলা আছে। আপনি কাজ করবেননা অথচ টাকা পাবেন এটা তো সুদ/জুয়ার পর্যায়ে চলে গেলো। 

আপনাকে হয়তোবা বিভিন্ন যুক্তিতর্ক দিবে, কারণ তাদের যুক্তি তর্কের অভাব নেই, এগুলা তৈরি করার আলাদা গোপন টিম আছে। তবে, বিষয়গুলো আপনি একটু গভীরভাবে চিন্তা করলেই ধরতে পারবেন। 

ঠিক অলনাইনেও এরকম হাজার হাজার মাধ্যম আছে, আপনি সরাসরি সেগুলো থেকে বিরত থাকবেন। কেউ আপনাকে এসব বিষয়ে বললে, আমতাআমতা না করে ডাইরেক্ট "না" বলে দিবেন। 

এরপর ক্রিপ্টো কারেন্সি / জুয়ারু কিছু সাইট রয়েছে.. যেমন, আপনি কোন বিষয়ে বাজি ধরবেন এবং বাজিতে জিতলে সবার টাকা আপনি পাবেন এবং আপনি হারলে, যে জিতবে সে আপনার সহ সবার টাকা নিবে। 

এগুলা থেকে যথাসম্ভব দূরে থাকার চেষ্টা করবেন আশা করি। 


**আপনাকে কিছু উপায় শিখে দেই, যেটা আপনার বর্তমান এবং ভবিষ্যতে বাস্তবিকভাবে অনেক কাজে লাগবে:-


> আপনি রিস্ক নিতে গেলে এমনভাবে রিস্ক নিবেন, যা ৫০%-৫০% চান্স আছে৷ 

কিংবা ধরেই নিন আপনি সেখানে লস করবেন। এখন, আপনাকে আগেই ভাবতে হবে, আমি যদি লস করি তাহলে সেটা আমার জীবনে কি কি প্রভাব ফেলতে পারে। 

আর যদি সফল হই তাহলে আমার কতটুকু লাভ হতে পারে?

যদি দেখেন খুব বেশি লাভ হবেনা, তাহলে এখনই সেই রিস্ক নেয়া স্টপ করে দিন। আবার যদি দেখেন লস করলে আপনার অনেক ক্ষতি হবে এবং আপনাকে আত্মহত্যার মুখোমুখি পর্যন্ত যেতে হতে পারে, তাহলে আমি বলবো এই রিস্ক নেয়া এখনই স্টপ করে দিন। 

যেমন সাধারণভাবে চলছেন এভাবেই চলুন। আমি ১০০% মনে করি যারা এই বিষয়টি আগে থেকে ভাবেনা তারা ভবিষ্যতে গিয়ে দেনাদার, পাওনাদারের চাপে পড়ে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়। 

যার ফলে এ জীবনে তো কিছু পাবেনইনা এবং পরবর্তী জীবনেও চির জাহান্নামী। 


> পরবর্তীতে যে বিষয়টি বলবো সেটি হলো, খুব বেশি কষ্টে না পড়লে, আপনি কখনও কারও থেকে টাকা নিবেননা। 

কারণ, এই জিনিসটি কখনওই আপনাকে স্বাভাবিকভাবে জীবনযাপন করতে দিবেনা। 

এবং কষ্টে পড়ে ধার-কর্জ নেয়ার আগে একবার ভাববেন কোন উপায়ে, কি করে, আমি তার টাকাটি ব্যাক দিতে পারি। 

আর নিলেও ধার-কর্জ ছাড়া কখনও সুদের টাকা গ্রহণ করবেননা। 

কারণ এটি যেমন ইসলামে হারাম, ঠিক তেমনি আপনার লাইফ, নিশ্চিত আত্মহত্যার পথে চলে যাচ্ছে। 

এরপর যে বিষয়টি বলবো সেটি হলো, আপনার মনমতো না হলে কিংবা কোন কাজ না পারলে, কারও সম্মানার্থে তার চাপে পড়ে সবকিছুতেই "হ্যা" বলবেননা। 

আপনি "না" বলতে শিখুন। 

নাহলে পরবর্তীতে আপনাকে অনুশোচনা/ আফসোস করতে হবে। 

এমনকি সঠিকভাবে কাজটি করতে না পারলে সে এসে, উল্টো বেশি কথা শুনাবে। তখন বলবে, পারবিনা আগে বললেই পারতি।

যে সম্মান বাঁচানোর জন্য "হ্যা" বললেন, সেই সম্মান আরও শতগুণে খারাপ হয়ে যাবে। 


> এরপর যেটা বলবো তা হলো, নিজেকে সবার সেরা মনে করুন। আপনি এখন বলতে পারেন, কি সব বলো এসব? 

এ জীবনে শুনে আসলাম:- নিজে যারে বড় বলে বড় সেই নয়, লোকে যারে বড় বলে বড় সেই হয়। 

আপনাকে বলি, আপনি কি কখনও কাউকে বড় বলতে দেখেছেন? অধিকাংশ মানুষ অন্যের উন্নতিতে তো হিংসায় জ্বলে এবং পিছনে টেনে ধরার চেষ্টা করে। 

আর আপনি যদি নিজেকে বড় না মনে করেন, তাহলে আপনার জ্ঞান বুদ্ধি সব ছোট্ট একটি গন্ডীর ভিতরেই রয়ে যাবে, লোকে জীবনেও আপনাকে বড় বলবেনা।

নিজেকে বিড়াল মনে করলে কি আর সিংহ হতে পারবেন? তবে, সিংহ মনে করলে অন্তত বাঘ তো হতে পারবেন নাকি?

নিজেকে এই জন্য বড় ভাববেননা যে আমি "হয়ে গেছি একজন" আর বাকি সব তুচ্ছ। (এক কথায় কখনও অহংকারী হবেননা, অহংকার আল্লাহর চাদরস্বরূপ) 

নিজেকে এই জন্য বড় ভাববেন যাতে করে অনেক বড় পরিসরে চিন্তা করতে পারেন এবং নিজের জ্ঞানকে প্রসারিত করতে পারেন। আর নিজেকে সেরা ভাবলে, এমনিতেই ইচ্ছা হবে কিভাবে অন্যের তুলনায় আমি আরো জ্ঞান আহরণ করতে পারি, কিভাবে আরও বেশি জানতে পারি। 


> পরবর্তীতে যেটি বলবো সেটি হলো, আপনি কোন কিছু না জানলে গুগল, ইউটিউব এগুলোর সহায়তা নিতে শিখুন। কারণ, আপনি যার থেকে জানতে চাচ্ছেন সে হয়তোবা সব বিষয়ে জানেনা। 

তাই, তার সম্মান রক্ষার্থে আপনাকে ভুলভাল একটা তথ্য দিয়ে বিদায় করতে পারে, 

আর আপনিও যেহেতু সে বিষয়ে জানেননা, তাই ভেবেই নিবেন, হয়তো এটাই সঠিক। এজন্য আমি বলবো, সব বিষয়ে একটু গুগল, ইউটিউব করার চেষ্টা করুন। 

একদিনে তো আর উন্নতি হবেনা, তবে একটি সময় গিয়ে আপনি অনেক ভালো করতে পারবেন। 

কোনো বিষয় একভাবে সার্চ দিয়ে না পেলে একটু অন্যভাবে সার্চ দিয়ে দেখুন। সেখানে এই ইনফো না পেলে এটি অন্যের কাছেও পাবেননা। যদিও কিছু বিষয় রয়েছে, যা তাদের পারদর্শিতার মধ্যে থাকে, গুগল বা ইউটিউবে থাকেনা। তবুও অধিকাংশ বিষয় আশা করি আপনি পেয়ে যাবেন। না পেলেও ইংরেজি কিংবা অন্য ভাষায় পেয়ে যাবেন। 


> এরপর যেটি বলবো সেটি হলো, সবসময় শেখার চেষ্টা করুন। বিশ্বাস করেন আর নাই করেন, কোন শিক্ষাই আপনার বৃথা যাবেনা। এমন সময় এসে আপনার সেই শিক্ষাটি কাজে লাগবে, যা আপনি কল্পনাও করতে পারবেননা। 

আমি যা শিখছি, তা আমার বিভিন্ন কাজে অনেক সহায়তা করছে যা আমি কখনও চিন্তাও করিনি। 

তাই, আশা করি সবসময় শেখার চেষ্টা করবেন। 


আজকেই শেষ করতে চেয়েছিলাম কিন্তু চেয়েও পারলামনা। 

এজন্য দুঃখিত.. কারণ, লিখাটি অনেক বড় হয়ে গেছে। 

ইনশাআল্লাহ নেক্সট পার্টে শেষ হবে এবং সেখানে অনলাইনে ইনকামের ইফেক্টিভ কিছু মাধ্যম এবং সোর্স সম্পর্কে আলোচনা করবো। 


পরবর্তী পার্ট